বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রমজানে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি, জনগনের নাগালের মধ্যে রয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি, বতর্মানে বেগুন ৫০/৬০ টাকা কেজি, পিয়াজ ৪০ টাকা কেজি, বুট বাজারে আগের থেকে দাম অনেক কম রয়েছে। মানুষ বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র একবারে কিনে নিচ্ছে। ফলে বাজারে গিয়ে মানুষ ভাবছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। এছাড়াও গতবারের থেকেও এবার সব পণ্যের সাপ্লাই অনেক বেশি রয়েছে। কোন পণ্য সংকট হওয়া সংখ্যা নেই বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রাফিক-ইন-ট্রানজিট চুক্তি হয়েছে। ভারত হয়ে উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন করতে এ চুক্তি হয়েছে। এতে - দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বিস্তার ঘটবে।
রোববার (২৬মার্চ) বিকালে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের চেক পোস্ট দিয়ে ভারত ও ভুটান পাঁচদিনের সরকারি সফর শেষে বাংলাদেশ প্রবেশের সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এমপি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমরা চাই ডাইরেক ট্রান্সপোর্ট চালু হোক। অনেক সময় ঝামেলা হয়। এ জন্য ভুটানের সাথে এগ্রিমেন্ট টা হয়েছে। ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে পাথর ও ফলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হচ্ছে। সে গুলো পণ্য যেন ভারতের সড়কে চেক না হয়ে সরাসরি বাংলাদেশে ট্রান্সপোর্ট করা যায় সেই ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বিস্তার ঘটবে বলে আশা করছি।
লালমনিরহাট বিমানবন্দর ভারত, ভুটান ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জব্বাবে তিনি বলেন, হ্যা, এ বিষয় কথা হয়েছে তারা লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি ব্যবহার করবেন না। কারণ এটি বিমান তৈরি কারখানার জন্য করা হয়েছে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা বিমান তৈরী করবেন। তাই তারা সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে চেয়েছেন। এতে বাংলাদেশের কোন সমস্যা হবে না বলেও তিনি বলেন। আর মোগলহাট স্থলবন্দরটি চালু করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুজ্জামান সাঈদ,বুড়িমারী স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুর হাসান কবির, পাটগ্রাম থানার (তদন্ত ওসি) মোত্তালিব হোসনে মুসা, বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার একরামুল হক, বুড়িমারী কাস্টমসের এ আরও আব্দুল্লাহ।
পরে তিনি, বুড়িমারীতে অবস্থিত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ৬ নাম্বার সেক্টরের হেড কোয়াটার হাসর উদ্দিন দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠটি পরির্দশন করে। পরে তিনি সৈয়দপুর বিমানবন্দর উদ্যেশে রওনা করেন।
